
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ সংশোধনের উদ্দেশ্যে এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ অধ্যাদেশে ২০১৮ সনের ৪৯ নং আইনের ২, ৪, ৭, ৮, ১২, ১৩ ও ১৪ ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। এছাড়া, ২০১৮ সালের ৪৯ নং আইনে ‘ধারা ৮ ক’ সন্নিবেশ করা হয়েছে এবং ধারা ৯ প্রতিস্থাপিত হয়েছে। সংশোধিত ধারা ৯-এ বলা হয়েছে যে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রলালয়ের অন্তর্ভুক্ত ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ ক্রীড়া সংস্থা। এটি বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতাধীন ৫১টি ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলা বিষয়ক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এটি বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থাকেও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এর নাম ‘জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড’ থাকলেও পরবর্তীতে এর নাম ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ রাখা’ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।